বিনোদন :- সম্প্রতি হেমা কমিটির রিপোর্ট সামনে আসার পর যৌন হেনস্থা নিয়ে উত্তাল মালায়ালম ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রি। এসব নিয়ে যখন চর্চা চলছে ঠিক তখনই বলিউড নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী শিল্পী শিন্ডে। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলি নিয়ে মুখ খুলেছেন শিল্পা।
ঠিক কী বলেছেন শিল্পা শিন্ডে ?
শিল্পা নিউজ 18 শো-কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বলেন, ‘এটা আমার কেরিয়ারের শুরুর দিনগুলোর কথা। সেটা ছিল ১৯৯৮-৯৯ সাল। আমি কারও নাম বলতে চাই না, তবে ওঁরা আমাকে বলেছিল, ‘আপ ইয়ে কাপডে পেহনো অউর ইয়ে সিন করো (তুমি এই পোশাক পরো, আর এই দৃশ্যটা করো)। আমি ওই পোশাক পরিনি। তবে তখন আমি ছিলাম খুবই সরল, সিধেসাদা। সেই দৃশ্য অনুযায়ী ওই ব্যক্তি ছিলেন আমার বস এবং আর আমাকে তাঁকে প্ররোচিত করতে বলা হয়েছিল। আমি যখন ওই দৃশ্যটি করি, তখন ওই লোকটি আমার উপর জোর খাটানোর চেষ্টা করেছিল। তখন আমি খুব ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম। আমি ওকে ধাক্কা দিয়ে সরিয়ে দিয়ে দৌড়ে বেরিয়ে আসি। নিরাপত্তারক্ষীরা বুঝতে পেরে আমাকে তৎক্ষণাৎ সেখান থেকে চলে যেতে বলে। ওরা ভেবেছিল আমি একটা দৃশ্য তৈরি করব এবং সাহায্যের জন্য ডাকব।’
শিল্পা আরও বলেন, যে কয়েক বছর পর আবারও ওই একই প্রযোজকের সঙ্গে দেখা হয়েছিল। যদিও শিল্পা তাঁর নাম প্রকাশ্যে আনতে চাননি। বলেন, ‘তিনিও এই হিন্দি ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিরই লোক। আমি দৃশ্যটি করতে রাজি হয়েছিলাম কারণ উনিও একজন অভিনেতা ছিলেন। আমি মিথ্যা বলছি না, তবে ওঁর নাম নিতেও পারছি না। ওর ছেলেমেয়েরা সম্ভবত আমার থেকে কিছুটা ছোট এবং যদি আমি ওর নাম প্রকাশ্যে আনি তাহলে ওর ছেলেমেয়েরাও কষ্ট পাবে … কয়েক বছর পর, আবারও ওঁর সঙ্গে দেখা হয়। তখন অবশ্য তিনি আমার সঙ্গে সহৃদয় হয়েই কথা বলেছিলেন। তিনি আমাকে চিনতেও পারেননি। এমনকি আমাকে একটা ছবির চরিত্রে কাজও দিয়েছিলেন। তবে আমি তা প্রত্যাখ্যান করি। ওর হয়ত এখন আমার কথা মনেও নেই’।
প্রসঙ্গত কাজের ক্ষেত্রে ‘ভাবিজি ঘর পর হ্যায়’ দিয়ে খ্যাতি অর্জন করেছিলেন শিল্পা শিন্ডে। অভিনেত্রী বলেন, তাঁর মতো ইন্ডাস্ট্রির আরও অনেকের ক্ষেত্রেই একই অভিজ্ঞতা হয়েছে। তিনি বলেন, তার মতো ‘কেউ কেউ পালিয়ে গেছে’। শিল্পার কথায় অন্য অনেকেই তাকে বলেছেন ‘তারা একই ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি হয়েছেন, এমনকি সুপরিচিত ব্যক্তিত্বের সঙ্গেও’। শিল্পার কথায়, ‘লোকে যৌন হেনস্থার কথা বলেন, তবে আমার মনে হয়, যাঁদের কাছে এধরনের প্রস্তাব আসে, তাঁদের কাছে না বলার সুযোগও কিন্তু থাকে।’